Ch-63. Al-Munaafeqoon,যেভাবে মুনাফিক চিনবেন?

Ch-63. Al-Munaafeqoon & যেভাবে মুনাফিক চিনবেন?

.
63:1 When the hypocrites come to you they say, "We bear witness that you are the messenger of God." God knows that you are His messenger, and God bears witness that the hypocrites are liars.
৬৩:১
إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ
যেতিয়া মুনাফিকসকল তোমাৰ ওচৰলৈ আহে তেতিয়া সিহঁতে কয়, আমি সাক্ষ্য দিওঁ যে, ‘নিশ্চয় আপুনি আল্লাহৰ ৰাছুল’; আৰু আল্লাহে জানে যে, তুমি নিশ্চয় তেওঁৰ ৰাছুল আৰু আল্লাহে সাক্ষ্য দিয়ে যে, নিশ্চয় মুনাফিকসকল মিছলীয়া।
.
👉Note:
Islam, which is peacemaking or peacefully surrendering to God, is the system followed by all righteous monotheists since Adam, and its basic principle is testimony to the absolute and sole authority of God. This testimony is mentioned and advocated in 3:18. As if God forgot a crucial part of the testimony, Sunnis have the audacity to add in the statement Muhammedun Rasulullah (Muhammed is God's Messenger). The Shiite faction went even a step further and added Ali Hujjatullah (Ali is God's Argument). This mentality of adding the names of idolized creatures next to God has been exposed by 39:45. Verse 63:1, is the only verse in the Quran that contains the second part of the shahada (testimony). As with the word hadith, sunna, ijma, and sharia (33:38; 35:43; 42:21; 45:6), God knew in advance that the polytheists would add the name of their idols next to His name. Thus, God mentioned the second part as the utterance of hypocrites. Modern hypocrites do not really believe that Muhammed was merely a messenger since they claim that he was a partner with God in authoring God's religion. They think that Muhammed completed where God had forgotten and that he even abrogated some of the Quranic verses. A messenger of God would never do such a thing, since their only mission is to deliver God's message. Thus, those who add a testimony about Muhammed's messengership in the shahada in fact are lying in that testimony; the Muhammed in their mind is no messenger, but rather their imaginary god besides God(edip).

....ooo....

যেভাবে মুনাফিক চিনবেন

কুরআনের আয়াত (চিহ্ন)

(২০১৯ সালের ফেসবুক স্মৃতি থেকে)


৬৩. ১-৪: "যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে তাহারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল।’ আল্লাহ্ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁহার রাসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। উহারা উহাদের শপথগুলিকে ঢালরূপে ব্যবহার করে আর উহারা আল্লাহর পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে। উহারা যাহা করিতেছে তাহা কত মন্দ! ইহা এইজন্য যে, উহারা ঈমান আনিবার পর কুফরী করিয়াছে। ফলে উহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দেওয়া হইয়াছে; পরিণামে উহারা বুঝে না।

তুমি যখন উহাদের দিকে তাকাও উহাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং উহারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে উহাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও উহারা দেওয়ালে ঠেকান কাঠের স্তম্ভসদৃশ; উহারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে উহাদেরই বিরুদ্ধে। উহারাই শত্রু, অতএব উহাদের সম্পর্কে সতর্ক হও; আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন! বিভ্রান্ত হইয়া উহারা কোথায় চলিয়াছে!"

উপরোক্ত আয়াত থকে আমরা যে তথ্য পেতে পারি:

১.মুনাফিকরা মিথ্যা বলে, মিথ্যুকরাই মুনাফিক

২. তারা যে মুসলিম হিসাবে অঙ্গিকার/শপথ নিয়েছেন কেবল তা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ঢালসরূপ ব্যবহারের জন্য। এটি তাদের প্রতারণা একটি কৌশল মাত্র। 

৩. রাসুল (সঃ) জীবিত থাকতে মুনাফিকরা রাসুল (সঃ)-এর সাহাবী সেজে রাসুলের কাছে যাচ্ছে এবং রাসুলকে আল্লাহর রাসুল হিসাবে স্বীকার করছে। রাসুল সয়ং তাদের কর্মকান্ডে চমৎকৃত হচ্ছেন। কিন্তু আল্লাহ তার রাসূল (সঃ)কে জানাচ্ছেন যে তারা মিথ্যা বলছে। এসব মুনাফিক এবং তাদের বংশোধররা রাসূল (সঃ)-এর ওফাতের পর রাসুল যা বলেন নি বা করেন নি তা রাসুল (সঃ)-এর কথা, বানী, কর্মকান্ড  ইত্যাদি দাবী করে রাসুলের নামে মিথ্যা বলবে স্বাভাবিক।

৪. তারা পোষাক-আশাক, চেহারা  সুরতে খুবই আকর্ষণীয় এবং  এমনভাবে  কথা বলবে যে সহজেই মানুষ চমৎকৃত হয়।

৫. কেউ তাদের সম্পর্কে সামান্য সামালোচনা  করলে 'মুনাফিকরা তাকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করে ( অথ্যাৎ সবকিছুেতই তারা ষড়যন্ত্র তত্ব খোঁজেন)।  তারা রেগে যায় এবং কটু কথা বলে এবং বর্বরভাবে পেশিশক্তি প্রয়োগ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। 

৬. 'মুনাফিকরা আল্লাহর পথ থেকে মানুষ কে বিরত রাখে' আল্লাহর নামে  আল্লাহ যা কিতাবে বলনে নি এমন সব কথা কিতাবের নামে  বা রাসুল (সঃ)এর নামে এমনভাবে বলে  মানুষ তা আগ্রহের সাথে শোনে এবং এভাবে বিভ্রান্ত হয়।  অর্থ্যাৎ আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের নামে মিথ্যা কথা বলে। তারা এসব কথা এমনভাবে গুছিয়ে চমৎকারভাবে বলে ফলে কারো আল্লাহর কিতাবের বাণী জানা না থাকলে যে কেউ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারেন।

৭. আল্লাহ এই মুনাফিকদের ইসলামের এবং তার রাসুল এবং মুমিনদের বড় শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

৮. রাসুল (সঃ)-এর জীবনের শেষ দিকে ইসলামের প্রসার  যত বাড়ছিল পবিত্র কুরআনে এসময় মুনাফিকদের সম্পর্কে রাসুল (সঃ) এবং মুমিনদের সাবধান করতে একের পর এক ততবেশী হারে আয়াত নাজিল হয়েছে। স্বভাবতই এ ঘটনা ইঙ্গিত করে এসময় মুশরিক/কাফির এবং কিতাবীদের চেয়ে মুনাফকিরাই ইসলামের বড় শত্রু হিসাবে আবির্ভূত হয। আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে  ইসলামের প্রসার যত বেড়েছে সেই সাথে ইসলামী লেবাসে ইসলামকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে মুনাফকিরাই ইসলামের আরো বড় শত্রু  হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

মুনাফিকদের কিভাবে চেনা যাবে সে সম্পর্কে আরো দুটি আয়াত:


৪৭. ২৯-৩০: যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা কি মনে করে যে, আল্লাহ্ কখনো উহাদের বিদ্বেষভাবে প্রকাশ করিয়া দিবেন না? আমি ইচ্ছা করিলে তোমাকে উহাদের পরিচয় দিতাম। ফলে তুমি উহাদের লক্ষণ দেখিয়া উহাদেরকে চিনিতে পারিতে, তবে তুমি অবশ্যই কথার ভংগিতে উহাদেরকে চিনিতে পারিবে। আল্লাহ্ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত।

মুনাফিকদের সম্পর্কে কুরআনের আরো বহু আয়াতের মধ্যে কয়েকটি:

৬৬. ৯: হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং উহাদের প্রতি কঠোর হও। উহাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।


৫৮. ১৬. উহারা (মুনাফিকরা) উহাদের শপথগুলিকে ঢালস্বরূপ ব্যবহার করে, আর উহারা আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে; অতএব উহাদের জন্য রহিয়াছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।(Syed Wali NY.fbfd).

Comments

Popular posts from this blog

Note-36:66

War and Peace

Masjid al Haram: Understand what does it mean by the phrase Masjid al Haram as per Quran.